ফুল ও ফলের বীজ শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
পেঁপের বীজ: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের ভালো উৎস পেঁপের বীজে আছে শক্তিশালী ব্যাক্টেরিয়া এবং প্রদাহ রোধী উপাদান, যা হজমে খুব সাহায্য করে। বীজ আস্ত অথবা স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
কুমড়ার বীজ: ১০ মিনিট সময় নিয়ে এই বীজ গরম পানিতে ফুটান। তারপর পানি ঝরিয়ে সামান্য তেল ও লবণ দিয়ে বীজগুলো ভেজে নিন। এতে আছে এমইউএফএ ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট। এটা ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং খনিজ যেমন- ম্যাঙ্গানিজ, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক একং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ।
চিয়া বীজ: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ- আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই বীজে। খাওয়ার ভালো উপায় হল, আধা কাপ পানিতে সারা রাত চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখা এবং পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তা খালিপেটে খাওয়া।
তরমুজের বীজ: তরমুজের বীজ ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে রেখে নিন। এতে আছে ওমেগা সিক্স। এই বীজ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর ভালো উৎস। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম ও কপারের মতো খনিজ উপাদানও প্রচুর আছে।
সূর্যমুখীর বীজ: এতে রয়েছে ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। এতে খনিজ হিসেবে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক এবং অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান প্রচুর থাকে।
তিসির বীজ: ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ। এতে আছে আঁশ, ভিটামিন বি-১, খনিজ যেমন- কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই বীজ ভেজে, গুঁড়া করে সুপ বা ডালে মিশিয়ে খাওয়া যায়।