বিশেষ প্রতিবেদক:
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যথাক্রমে প্রিন্সিপাল আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন ও এম সোলায়মান ফরিদ যুক্ত বিবৃতিতে ইসিকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর প্রস্তাবিত ইভিএম সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় অভিনন্দন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোট, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) এবং প্রবাসীদের ভোটার করাসহ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেয়া ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।
তাঁরা বিবৃতিতে বলেন,ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ নীতিগতভাবে ইভিএম এর পক্ষে। এটা নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে আমাদের দ্বিতীয় দফা দাবি ছিল বটে। কিন্তু আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৪/৫ মাস আগে ইসি ইভিএম এর ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এটা রাজনৈতিক দল,রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সংশয়ের জন্ম দেবে।
তাঁরা আরো বলেন, আমরা ইভিএম এর পক্ষে। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৪/৫ মাস আগে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের পক্ষে মত দিতে পারিনা। কারন ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করতে যেরকম প্রশিক্ষিত লোকবল ও ইনস্ট্রুমেন্ট প্রয়োজন তার প্রক্রিয়া ইসি সচিবালয় এখনও শুরুই করতে পারেনি। তারা বলেন,ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ গত বছর নির্বাচন কমিশন সংলাপে যখন ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি করেছিল তখন থেকে শুরু করা গেলে যুক্তিসংগত হতো এবং সংশয়ের কারন থাকতোনা। নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রায় ৪/৫ মাস পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা মোটেই সম্ভব নয়।
তারা নিম্নোক্ত ১২ দফা দাবীগুলো স্মরন করিয়ে দিয়ে উপরোক্ত বিবৃতিতে উল্লেখ করেন,আমাদের ১২ দফা দাবীতে ইভিএম ব্যাবস্থার দাবী ছিল উল্লেখযোগ্য ১ টা দাবী।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর ১২(বারো) দফা প্রস্তাবনা নিম্নরূপ:
১. না ভোটের বিধান রাখা,
২. ইলেক্ট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা,
৩. নির্বাচনী ব্যয় সংকোচন, কালো টাকার ব্যবহার রোধ ও সকল
প্রকার নির্বাচনী ব্যয় কমিশন কর্তৃক বহন করা,
৪. তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া,
৫. কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা,
৬. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ আসন করে তিন ধাপে ৩০০ আসনে নির্বাচন করা,
৭. দল, মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভোটারের পোলিং বুথ পর্যন্ত আসা যাওয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
৮. আগামী সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে জাতীয় পাসপোর্ট ডাটাবেস ব্যবহার করে সকল বৈধ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়া,
৯. রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিয়মিত সংলাপের আয়োজন করা,
১০. মনোনয়নপত্র জমাদানে প্রার্থীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে
যাওয়া আসার নিরাপত্তা দেয়াসহ অনলাইনে নমিনেশন ফরম জমাদানের ব্যবস্থা রাখা,
১১. নির্বাচন পরবর্তী প্রার্থীদের ব্যয় (আগে থেকে মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখা) যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা,
১২. তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন মন্ত্রণালয়গুলোকে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কমিশনের সাখে পরামর্শের ব্যবস্থা করা