নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ছাগলনাইয়া পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা ১৪হাজার ১শত০৭ পেয়ে
দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক জাকের হায়দার সুমন কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে ২হাজার ৩৬ ভোট পেয়েছেন।
প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় ইভিএম এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রের ৯৭টি বুথে ভোট প্রয়োগ করেন পৌরবাসী।
এদিকে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন-আবদুল লতিফ বাহার,মেহেদী হাসান চৌধুরী শিমুল ,কাজী নুরুল আলম,নাছির উল্যাহ ভূঁইয়া রিন্টু,মোজাহারুল ইসলাম মুসা,হাবিবুর রহমান মজুমদার, সহিদ উল্যাহ মজুমদার
,আবদুল মোমিন চৌধুরী, মুন্সী নুর হোসেন,সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন (১,২,৩) নং ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম,(৪,৫,৬) মাসুদা আক্তার, (৭,৮,৯) সাহেনা আক্তা ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৪ জন ও ১১ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৫ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ছাগলনাইয়া পৌরসভায় প্রথমবার ইভিএম এ ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে ছিলো র্যাব ও দুই প্লাটুন বিজিবি।
এ ছাড়াও ১৩ কেন্দ্রে ছিলেন ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মেয়র পদে মোহাম্মদ মোস্তফা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী পিপিএম বিপিএম জানান, সকাল ৯টার দিকে ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে জোর করে অন্যের ভোট দেয়ার অভিযোগে নৌকার এজেন্ট শাহাদাত হোসেন শিপনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া আরও দুটি কেন্দ্রে দুইজনসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।